ভারতের ভাষা কয়টি: ভারত, একটি দেশ যা তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত, একটি বিস্ময়কর ভাষাগত ভূদৃশ্যের আবাসস্থল। এর বিশাল ভৌগলিক বিস্তৃতি এবং 1.3 বিলিয়ন লোকের জনসংখ্যার সাথে, ভারত একটি অসাধারণ ভাষাগত মোজাইককে আলিঙ্গন করে। যদিও হিন্দি এবং ইংরেজি জাতীয় স্তরে সরকারী ভাষা হিসাবে কাজ করে, ভারতের ভাষাতাত্ত্বিক টেপেস্ট্রি এই দুটি ভাষার বাইরেও বিস্তৃত। এই ব্লগে, আমরা ভারতীয় ভাষার আকর্ষণীয় জগতের সন্ধান করব, এই প্রশ্নটি অন্বেষণ করব: “ভারতে কতটি ভাষা আছে?”
Table of Contents
ঐতিহাসিক এবং ভৌগোলিক কারণ
ভারতের ভাষাগত বৈচিত্র্য তার সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক এবং ভৌগোলিক কারণগুলির মধ্যে এর শিকড় খুঁজে পায়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, ভারত বিভিন্ন রাজবংশ, সাম্রাজ্য এবং সংস্কৃতির প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছে, যার ফলে বিভিন্ন ভাষার সংমিশ্রণ ঘটেছে। উপরন্তু, ভারতের বিশাল ভৌগোলিক বিস্তৃতি বিভিন্ন ভূখণ্ডকে ধারণ করে, যা সম্প্রদায়গুলিকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং ভাষাগত বৈচিত্র্যকে উৎসাহিত করতে ভূমিকা পালন করে।
ভারতের ভাষা কয়টি?
ভারত একটি জটিল ভাষাগত ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে গর্ব করে, যা দুটি প্রধান ভাষা পরিবারে শ্রেণীবদ্ধ: ইন্দো-আর্য এবং দ্রাবিড়। ইন্দো-আর্য পরিবার, ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবার থেকে উদ্ভূত, হিন্দি, বাংলা, পাঞ্জাবি, গুজরাটি এবং মারাঠির মতো কয়েকটি ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করে। অন্যদিকে, দ্রাবিড় পরিবারে তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং মালায়লামের মতো ভাষা রয়েছে। এই দুটি প্রধান পরিবার ছাড়াও, ভারতে অস্ট্রোএশিয়াটিক, চীন-তিব্বতি এবং তাই-কাদাই-এর মতো আরও কয়েকটি ভাষা পরিবার রয়েছে।
দাপ্তরিক ভাষাসমূহ
জাতীয় পর্যায়ে, ভারত হিন্দি এবং ইংরেজিকে তার সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। হিন্দি, দেবনাগরী লিপিতে লিখিত, উত্তর ভারতের হিন্দি-ভাষী অঞ্চলে যোগাযোগের জন্য প্রাথমিক ভাষা হিসাবে কাজ করে। ইংরেজী, ঔপনিবেশিক যুগ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত, প্রশাসন, শিক্ষা এবং শাসন ব্যবস্থায় বিশেষ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার তাৎপর্য বজায় রাখে।
আঞ্চলিক এবং রাষ্ট্রীয় ভাষা
ভারতের ভাষাগত বৈচিত্র্য আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন আমরা আঞ্চলিক ও রাষ্ট্রীয় ভাষা বিবেচনা করি। ভারতের 28টি রাজ্য এবং 8টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিটির নিজস্ব সরকারী ভাষা(গুলি) রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, তামিল তামিলনাড়ুর সরকারী ভাষা, অন্যদিকে বাংলা পশ্চিমবঙ্গের সরকারী ভাষা। সরকারী ভাষা ছাড়াও, ভারতের সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করে বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপকভাবে কথিত অসংখ্য আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে।
ভাষা গণনা
উপভাষা এবং স্থানীয় ভাষার তারতম্যের কারণে ভারতে ভাষার সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা একটি জটিল কাজ। ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিল 22টি ভাষাকে তফসিলি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। এর মধ্যে রয়েছে হিন্দি, বাংলা, গুজরাটি, মারাঠি, পাঞ্জাবি, তামিল, তেলেগু এবং আরও অনেক কিছু। যাইহোক, ২০১৩ সালে পরিচালিত পিপলস লিঙ্গুইস্টিক সার্ভে অফ ইন্ডিয়া অনুসারে, ভারতে কথ্য ভাষার সংখ্যা 1,600 ছাড়িয়েছে। এই সমীক্ষার লক্ষ্য ছিল দেশজুড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের দ্বারা কথ্য ভাষা, উপভাষা এবং লিপিগুলি নথিভুক্ত করা।
ভাষাগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণ
ভারতের ভাষাগত বৈচিত্র্য কেবল দেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরই প্রমাণ নয়, ভাষা সংরক্ষণ ও প্রচারের ক্ষেত্রেও একটি চ্যালেঞ্জ। বিভিন্ন সংস্থা, সরকারী উদ্যোগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে বিপন্ন ভাষার ডকুমেন্টেশন, সংরক্ষণ এবং প্রচারে নিযুক্ত রয়েছে। ভাষাগত অধিকারের স্বীকৃতি ও সুরক্ষার জন্য প্রচেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে ভারতের সাংস্কৃতিক কাঠামো প্রাণবন্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক থাকে।
আমাদের শেষ কথা
তাই বন্ধুরা, আমি আশা করি আপনি অবশ্যই একটি Article পছন্দ করেছেন (ভারতের ভাষা কয়টি)। আমি সর্বদা এই কামনা করি যে আপনি সর্বদা সঠিক তথ্য পান। এই পোস্টটি সম্পর্কে আপনার যদি কোনও সন্দেহ থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই নীচে মন্তব্য করে আমাদের জানান। শেষ অবধি, যদি আপনি Article পছন্দ করেন (ভারতের ভাষা কয়টি), তবে অবশ্যই Article টি সমস্ত Social Media Platforms এবং আপনার বন্ধুদের সাথে Share করুন।