বৃক্ষরোপণ রচনা – Essay on Tree Plantation in Bengali

বৃক্ষরোপণ রচনা – Essay on Tree Plantation in Bengali : আজ আমরা এই প্রবন্ধে বৃক্ষরোপণ রচনা – Essay on Tree Plantation in Bengali প্রবন্ধ প্রকাশ করেছি। এটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ছোট 600 শব্দের রচনা। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা এবং প্রতিযোগিতার জন্য এই রচনা থেকে সাহায্য নিতে পারে।

বৃক্ষরোপণ রচনা – Essay on Tree Plantation in Bengali

বৃক্ষরোপণ রচনা

ভূমিকা

বন মানুষের জীবনের জন্য খুবই উপকারী, কিন্তু সাধারণ মানুষ এর গুরুত্ব বুঝতে পারছে না, যারা বনে বাস করে বা যাদের জীবিকা বনের উপর নির্ভরশীল, তারাই বনের গুরুত্ব বোঝে।

বৃক্ষরোপণ কি?

বৃক্ষরোপণ হল কোনো গাছবিহীন অনুর্বর জমিতে গাছ লাগানো বা বীজ বপনের প্রক্রিয়া। এটি বিশেষ দেশে বহিরাগত গাছ লাগানোর একটি প্রক্রিয়া।

আজকের আধুনিক যুগে গাছের সংখ্যা অনেক কমে যাচ্ছে এবং তা মানুষের জীবনের জন্য খুবই উপযোগী তাই গাছ লাগানো খুবই জরুরি। সহজ কথায়, বৃক্ষরোপণ হল নতুন বনের সৃষ্টি।

বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব

মানুষের জীবনে গাছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। গাছ মাতৃভূমির সন্তান এবং আমাদের বন্ধুও। গাছ থেকে আমরা ফল, সবজি, কাঠ ইত্যাদি পাই। আসবাবপত্র, কাগজ, আঠা ইত্যাদি তৈরিতে কাঠ ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া গাছ থেকে অনেক ওষুধ তৈরি করা হয়, যা আমাদের শরীরের নানা ধরনের রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করে।

গাছ আমাদের শুধু বিশুদ্ধ বাতাসই দেয় না, পরিবেশও সুন্দর করে। পাখিরা গাছে বাসা বানায়। প্রখর রোদে, মানুষকে ছায়া দিয়ে, গ্রীষ্মের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। গাছ না থাকলে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়ে যেত। সুযোগ-সুবিধার লোভে মানুষ হয়ে উঠেছে গাছের শত্রু।

তিনি প্রতিনিয়ত গাছ কেটে ফেলছেন, যার ফলে আমাদের পরিবেশের বিরূপ প্রভাব পড়ছে এবং মানুষকে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে, পাহাড়ের বরফ গলে যাচ্ছে, যার কারণে বন্যার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। গাছ-গাছালি প্রকৃতির অহংকার, যার কারণে মানুষ পৃথিবীতে টিকে আছে।

গাছ আমাদের বন্ধু বললে ভুল হবে না। গাছের শিকড় মাটির সাথে শক্ত করে ধরে থাকে। শিকড়ের কারণে উর্বর মাটি বাতাস (মাটি ক্ষয়) থেকে রক্ষা পায়। সময়মতো বৃষ্টি পেতে গাছ আমাদের সাহায্য করে। সত্যিই গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু। তাদের রক্ষা করতে হবে।

গাছ এবং গাছপালা নিজেরাই সূর্য ও ঝড় বহন করে এবং আমাদেরকে শীতল বাতাস এবং ছায়া দেয়, কখনই কারও প্রতি বৈষম্য করে না এবং কাউকে নিজের এবং বিদেশী বলে না। আমাদের তাদের রক্ষা করতে হবে এবং মানুষকে গাছ কাটা থেকে বিরত রাখতে হবে, তারা আমাদের কাছে অনেক ঋণী, আমরা যদি আমাদের জীবনে সুন্দর জীবন চাই তবে আমাদের বাচ্চাদের মতো এই গাছগুলির যত্ন নিতে হবে। বিশুদ্ধ বাতাস ও অক্সিজেন ছাড়া মানুষের জীবন অসম্ভব।

নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দূষণের শিকার হওয়ার পর মানুষ এখন বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব বুঝতে পারছে। এখন শহর থেকে গ্রামে বৃক্ষরোপণ প্রচারে জনগণ ও সরকার একসঙ্গে অনেক কর্মসূচি শুরু করেছে। স্কুল-কলেজেও শিশু ও শিক্ষকদের দ্বারা নিয়মিত বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

উপসংহার

বৃক্ষরোপণ শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, আমাদেরও কর্তব্য। গাছ না কাটা এবং কাটা বন্ধ করাও প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। বেশি বেশি গাছ লাগান, যাতে আমরা পর্যটন, পশু পাখি দেখা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য, গাছপালা ইত্যাদির সুবিধা পেতে থাকি। বনজ সম্পদ বিনষ্ট হলে প্রকৃতির রোষানল থেকে বাঁচানো খুবই কঠিন হবে।

আমাদের শেষ কথা

তাই বন্ধুরা, আমি আশা করি আপনি অবশ্যই একটি Article পছন্দ করেছেন (বৃক্ষরোপণ রচনা)। আমি সর্বদা এই কামনা করি যে আপনি সর্বদা সঠিক তথ্য পান। এই পোস্টটি সম্পর্কে আপনার যদি কোনও সন্দেহ থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই নীচে মন্তব্য করে আমাদের জানান। শেষ অবধি, যদি আপনি Article পছন্দ করেন (বৃক্ষরোপণ রচনা – Essay on Tree Plantation in Bengali), তবে অবশ্যই Article টি সমস্ত Social Media Platforms এবং আপনার বন্ধুদের সাথে Share করুন।

Leave a Comment