৩৫+ টি নতুন গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া : বন্ধুরা বর্তমান সময়ে সরকারি বা বেসরকারী চাকুরী হচ্ছে Luck by Chance । তাই বন্ধুরা নিজেকে ভাগ্যের উপর ছেড়ে না দিয়ে অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করে নিজের Career গড়ে নিতে পারেন। এর জন্য বিশেষ যোগ্যতা লাগেনা। আপনার শ্রম ও উপস্থিত বুদ্ধি আপনাকে সাফল্য এনে দেবে.
- [নতুন] র দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নামের তালিকা অর্থ সহ
- [বিশ্লেষণ] বাংলার নবজাগরণ ছিল কলকাতা শহরকেন্দ্রিক
আপনি যদি গ্রাম বা ছোট শহরের বাসিন্দা হন তাহলে সেই এলাকার চাহিদা বুঝেই আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে হবে।একটি এলাকার ভৌগলিক ও আর্থসামাজিক অবস্থার ওপরই নির্ভর করে সেই এলাকায় কোন ব্যবসা লাভজনক হবে। তাই কোনও এলাকাতে ব্যবসা শুরু করতে হলে সেই এলাকার সম্পদ ও এলাকার মানুষের চাহিদা বোঝা অত্যন্ত জরুরি.
Table of Contents
৩৫+ টি গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া
অল্প পুঁজিতে গ্রামাঞ্চলে বা ছোট শহরে ব্যবসা করতে চাইলে আপনি এই ব্যবসা আইডিয়াগুলো থেকে আপনার উপযুক্ত ব্যবসাটিকে বেছে নিতে পারেন :-
১. কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার
বন্ধুরা বর্তমানে কম্পিউটার চালানোর দক্ষতা থাকলে বিভিন্ন ধরনের চাকরির অনেক সুযোগ ও Online এ নানারকমের ব্যবসাও করা যায়। কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে এখনও ঘরে ঘরে কম্পিউটার না আসায় এই বিষয়টিতে তারা অনেক সময়ই পিছিয়ে পড়ে। গ্রামে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে আপনি একদিকে যেমন তাদের শেখার সুযোগ করে দিতে পারবেন তেমনই নিজেও লাভ করতে পারবেন.
তবে এক্ষেত্রে ভাল প্রশিক্ষকের ব্যবস্থা করা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি উপযুক্ত সংখ্যক কম্পিউটার কেনার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে ও সরকারি Registration এর ব্যবস্থা করতে হবে.
২. রোগ নিরীক্ষণ কেন্দ্র
কিছু সংখ্যক সাধারণ রোগের জন্য আপনার গ্রামে একটি রোগ নিরীক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারেন। এরজন্য অবশ্যই আপনাকে সরকারি অনুমোদন এবং এক জন প্রশিক্ষিত Technician প্রয়োজন.
এখন আপনার কেন্দ্রেই রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখুন আর বড় রোগের ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ করে শহরের বড় কোনও কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে পারেন। সেই মতো কোনও বড় কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ ও চুক্তি করে রাখুন.
ব্লাড সুগার, থাইরয়েডের মতো সাধারণ রোগের রক্তপরীক্ষা করতেও গ্রামের মানুষকে হামেশাই ছুটতে হয় শহরে। অথচ এই রোগীদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করাতে হয়। আপনি যদি আপনার গ্রামেই একটি রোগ নিরীক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করেন তাহলে গ্রামের মানুষ আপনার কাছেই আসবে.
৩. Fast Food এর দোকান
বন্ধুরা বাড়িতে Youtube এ Recipe দেখে আপনারা অনেকেই নানান ধরনের Fast Food রান্না করে থাকেন। এখন আপনি যদি রান্না করতে ভালো পারেন তাহলে আপনার গ্রামে আপনি একটি Fast Food এর দোকান শুরু করতে পারেন। কারণ গ্রামের মানুষেরাও এখন Fast Food খেতে বেশি পছন্দ করছে.
আজকের দিনে বড় বড় Metro City তে দুই পা হাঁটলে Fast Food এর দোকান দেখতে পাবেন। ছোট শহর ও বিশেষত গ্রামাঞ্চলে প্রতিযোগিতা এখনও অপেক্ষাকৃত কম। তাই এই ব্যবসার কথা ভাবা যেতে পারে। এটিও অল্প টাকায় ভাল ব্যবসা.
দোকানঘর ভাড়া, বাসন পত্র, গ্যাস ইত্যাদি নিয়েই শুরু করে দিতে পারেন ব্যবসা। প্রাথমিকভাবে চাইনিজ ও মোগলাই খাবার দিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারেন কারণ এই দুই ধরনের খাবার সকলের কাছেই পরিচিত ও সমাদৃত। পরে আস্তে আস্তে অন্যান্য ধরনের খাবার রাখার কথা ভাবতে পারেন.
৪. মোবাইল Recharge ও মেরামত
গ্রামের মানুষেরও এখন Mobile ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না। তাই প্রতিদিন Mobile এর টুকিটাকি অনেক কিছু প্রয়োজন হয়।এই সময় আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন। মোবাইল Recharge করতে ২টা সাধারণ মোবাইল হলেই শুরু করে দেয়া যায়.
এছাড়া, আপনি দোকানের মোবাইলের অন্যান্য সামগ্রী যেমন, কাভার, হেড-ফোন, চার্জার ইত্যাদি রাখতে পারেন। আর যদি পারেন মোবাইল মেরামতের কাজও শুরু করতে পারেন.
৫. রঙিন কাপড়ের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা
গ্রামের মানুষও এখন আধুনিক ও সৌখিন জিনিস ব্যবহারে ঝোঁক বাড়ছে। তাই আপনি বিভিন্ন ডিজাইনের রঙিন কাপড়ের ব্যাগ তৈরি করে তা নিজের এলাকায় বিক্রি করতে পারেন বা অন্য এলাকাতেও সরবরাহ করতে পারেন। এই ব্যাগ বানাতে খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন নেই অনেক যন্ত্রপাতি বা মূলধনের।
সাধারণ সেলাই মেশিন দিয়েই তৈরি করে ফেলতে পারবেন এই সব ব্যাগ। বিভিন্ন নকশার রুচি সম্মত কাপড় কিনে ব্যাগ বানালে শহর ও গ্রাম দুই এলাকাতেই বিক্রি হবে ভাল। বাজার থেকে ছাপার কাপড় কিনে ব্যাগ বানাতে পারেন অথবা এক রঙা কাপড়ে ব্যাগ বানিয়ে তার ওপর ছাপিয়ে নিতে পারেন পছন্দ মতো ডিজাইন.
৬. আদা রসুনের পেস্ট এর ব্যবসা
আজকের ব্যস্ততায় বেশিরভাগ মানুষই রেডিমেড পেস্ট কিনে রান্নায় ব্যবহার করেন। ফলে আদা রসুনের পেস্টের চাহিদা বাড়ছে। আপনিও অল্প পুঁজিতে আদা – রসুনের পেস্ট তৈরি করে গ্রামে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাতেও খুব বেশি পুঁজি বা দক্ষতার প্রয়োজন নেই। প্রাথমিকভাবে পেস্ট তৈরি ও প্যাকেজিংয়ের যন্ত্রের পিছনে খানিক বিনিয়োগ করতে হবে.
৭. জ্যাম, জেলি ও আচার এর ব্যবসা
বন্ধুরা পুরানো এবং অল্প পুঁজিতে সহজে তৈরি যায় এমন আরও একটি লাভজনক ব্যবসা হল জ্যাম, জেলি ও আচার তৈরি। বড় বড় কিছু কোম্পানি এই সমস্ত পণ্য তৈরি শুরু করলেও এখনও আঞ্চলিকভাবে তৈরি জ্যাম, জেলি ও আচারের চাহিদা রয়েছে.
গ্রামের অন্যান্য কিছু মহিলার সঙ্গে এক সাথেও এই ব্যবসা শুরুর করার কথা ভাবা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে উত্পাদন হবে বেশি, প্রাথমিক বিনিয়োগ সকলের মধ্যে ভাগ হবে এবং কাজের চাপও কমবে.
৮. সার ও কীটনাশকের ব্যবসা
আমাদের গ্রামীণ এলাকা হচ্ছে কৃষি নির্ভর এবং চাষবাসে বেশি লাভের জন্য সার ও কীট নাশকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমান এটি একটি অত্যন্ত লাভজনক গ্রামের ব্যবসা। কোন কোম্পানির ডিলারশিপ নেবেন তা বাজারের চাহিদা ও কোম্পানির শর্তের ওপর নির্ভর করবে। আপনার গ্রামে কোন সার বা কোন ধরনের কীট নাশকের বিক্রি বেশি হবে তা আপনি সহজেই মানুষের সাথে কথা বলেই জানতে পারবেন। অল্পপুঁজিতে এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব.
৯. বেকারির ব্যবসা
বেকারির পাঁউরুটি কিংবা বেকারির তৈরী বিভিন্ন বিস্কুট প্রায় সব বাড়িতেই খায় । তাই আঞ্চলিকভাবে পাঁউরুটি তৈরি করে এলাকার চাহিদা মেটানো যেতে পারে। টাটকা পাঁউরুটি সরবরাহ করলে মানুষ বাইরের পাঁউরুটি কিনবে না। পাশাপাশি কেক, বিস্কুট ইত্যাদিও বানানো শুরু করুন। এটি একটি উৎপাদনমুখী ব্যবসা হওয়ায় প্রাথমিক বিনিয়োগ খানিক বেশি। একটি কারখানা তৈরি ও তাতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রাখতে হবে। তবে একবার ব্যবসা চালু হয়ে গেলে টাকা উঠে আসবে.
১০. NGO গঠন
বর্তমানে গ্রাম ও ছোট শহরে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজের সুযোগ রয়েছে। আপনি আগ্রহী হয়ে যেকোনও একটি ক্ষেত্রকে বেছে নিয়ে NGO খুলতে পারেন। বহু সংস্থা এই কাজের জন্য Grant দেয়। সঠিকভাবে Project তৈরি করে সেই সমস্ত Grant এর জন্য আবেদন করলে টাকা পাওয়া সম্ভব.
ফলে একদিকে যেমন আপনার এলাকার উন্নয়ন হবে অন্যদিকে এর থেকে আপনার আয় হবে। পাশাপাশি আপনার এলাকায় আপনি কর্মসংস্থানও করতে পারবেন.
১১. ঔষধ দোকানের ব্যবসা
ঔষধ সব সময় একটি অতি আবশ্যকীয় পণ্য,গ্রামের মানুষের ঔষধের প্রয়োজন পড়ে। গ্রামে অনেক সময় একটি ঔষধের জন্য শহরে ছুটতে হয়। আপনি চাইলে গ্রামে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আর আপনার ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য একজন MBBS ডাক্তারের চেম্বার খুলতে পারেন। এর ফলে, গ্রামের মানুষ চিকিৎসার সুবিধা যেমন পাবে, তেমনি আপনার বিক্রিও ভাল হবে.
১২. Cyber Cafe
বন্ধুরা আজকের যুগ হলো Internet এর যুগ।Computer সংক্রান্ত আরও একটি ভাল গ্রামের ব্যবসা হল Cyber Cafe। আজকাল কলেজের Admission থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা সবকিছুর ফর্ম পূরণ হয় Online এ। এছাড়াও অন্যান্য নানা প্রয়োজনেও মানুষকে Computer থেকে Internet এ কাজ করতে হয়। প্রয়োজন পড়ে print বেরকরতে। এই সব কিছুই আপনি আপনার Cyber Cafe তে করতে পারেন.
তবে এই ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজন খানিক প্রাথমিক বিনিয়োগ এবং কোন জায়গায় ব্যবসা করছেন, সেখানে এই ব্যবসা চলবে কি না, ব্যবসা শুরুর আগে সে বিষয় ভাল করে নিশ্চিত হয়ে নিন.
১৩. Coaching Class
আপনি শিক্ষিত হন তাহলে স্কুল কলেজে ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য কোচিং ক্লাস খুলতে পারেন। দু-তিনটি ঘর ভাড়া করে শুরু করতে পারেন ব্যবসা। এলাকার এলাকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের পাশাপাশি বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের এনেও ক্লাস করাতে পারেন। আপনার Coaching Class থেকে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা সাফল্যলাভ করলে ছাত্রছাত্রীর ভিড় বাড়বে।
১৪. ইলেকট্রনিক রিপেয়ারিং
বন্ধুরা আধুনিক যুগে ইলেকট্রিক আমরা কিছুই ভাবতে পারিনা, সে শহর হোক কিংবা গ্রাম। ফলে গ্রাম ও ছোট শহরে ইলেকট্রনিক জিনিসের ব্যবহার বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই সেই সব জিনিস খারাপ হলে শহরে যেতে হয় মেরামতির জন্য। আপনি যদি কাজ শিখে উপযুক্ত ট্রেনিং নিয়ে আপনার গ্রামেই এরকম একটি দোকান খোলেন তাহলে ভাল লাভ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে এবং সামান্য কিছু বিনিয়োগ করে নতুন ইলেকট্রিক সরঞ্জাম আপনি বিক্রি করে Income বাড়াতে পারেন.
১৫. কাঁচামাল শহরে সরবরাহের ব্যবসা
প্রতিটি বড় শহরে প্রায় সব ধরনের কাঁচামাল ও সবজি কিন্তু গ্রাম থেকেই আসে। সুতরাং, আপনি যদি গ্রামে থাকেন তাহলে, এটা আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম ব্যবসা। শহরের সাথে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে, আপনি চাইলে গ্রাম থেকে কাঁচামাল ও সবজি পাইকারি কিনে শহরে পাইকারি দরে কাঁচামাল বিক্রি করতে পারেন। স্বল্প পুঁজিতেই কাঁচামাল ব্যবসা শুরু করা যায়.
১৬. জৈব চাষ
অত্যাধিক কীটনাশক ব্যবহারের ফলে আমাদের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমাদের জৈব পদ্ধতিতে চাষের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে জৈব কৃষিজাত পণ্যের চাহিদা। আপনার গ্রামে খুব অল্প জায়গাতেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এর জন্য খুব বেশি পুঁজিরও কোনও প্রয়োজন নেই.
১৭. ATM-এর জন্য জায়গা ভাড়া দেওয়া
বন্ধুরা ব্যাঙ্কগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ATM-এর জায়গা ভাড়া নেয়। প্রতি দুই থেকে তিন বছর অন্তর সেই চুক্তি Renewal করা হয়। আপনার বাড়িতে যদি ATM তৈরির মতো জায়গা থাকে তাহলে সেই জায়গা ভাড়া দিয়ে ব্যাঙ্কের থেকে নিয়মিত টাকা Income করতে পারেন। এই ব্যবসার জন্য আপনার কোনও বিনিয়োগ নেই শুধুমাত্র ঘরটি ছাড়া, অথচ লাভের পরিমাণ ভালই.
১৮. কৃষি সহায়ক দ্রব্যের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা
আমাদের দেশে গ্রামের অধিকাংশ মানুষের প্রধান পেশা কৃষি। তাই, কৃষির জন্য জরুরি এমন অনেক পণ্য রয়েছে। যেমন, ফসলের বীজ, সার, কীটনাশক, বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।
আপনি চাইলে এগুলোর পাইকারি বা খুচরা ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারলে আপনি বীজ বা সারের ডিলারশীপ পেতে পারেন। গ্রামে এই ব্যবসা করে, ক্ষেত্র বিশেষ লাখ-টাকাও উপার্জন করতে পারবেন.
১৯. গরু-ছাগল, হাঁসমুরগি বা কবুতর খামার
গরু-ছাগল বা হাঁস-মুরগি খামারের ব্যবসা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এটা খুব লাভজনক ব্যবসা যদি শুরু করতে পারেন। কারণ, এর চাহিদা সবসময় থাকে। এছাড়া, আপনি যদি শৌখিন হয়ে থাকেন তাহলে, কবুতর কিংবা কোয়েল পাখির ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। এসব ব্যবসা শুরু করার আগে প্রাথমিকভাবে কিছু জ্ঞান অর্জন করে নেয়া ভাল.
২০. হস্ত শিল্পের ব্যবসা
বন্ধুরা সৌখিন বস্তু মানুষকে সব সময় আকৃষ্ট করে।তাই হস্ত শিল্পের চাহিদা যুগ যুগ ধরে রয়েছে এবং থাকবে। বর্তমানের শহুরে জীবনের এর চাহিদা আগের থেকে অনেক বেশি। আপনি চাইলে এসব হস্ত শিল্পের মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়ের জীবন সূচনা করতে পারেন। গ্রামে আপনি হস্ত শিল্পের অনেক কারিগর পাবেন তাও আবার কম খরচে। হস্ত শিল্পের কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছে এরকম শত শত উদাহরন আছে। আমি পত্রিকায় প্রকাশিত কিছু তথ্য তুলে ধরছি.
বিভিন্ন জনপ্রিয় কিছু হস্ত শিল্প হল :-
• নকশি কাঁথা
• শীতল পাটি
• মাটির পাত্র
• গয়না বা অলঙ্কার
• বেতের শিল্প
• কাঠের তৈরি পণ্য
• বাঁশের তৈরি পণ্য
• পাটের পুতুল বা অন্যান্য পণ্য
বিস্ময়কর ব্যাপার হল, আপনি চাইলে এসব শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারেও বিক্রি করতে পারবেন। প্রাথমিক ভাবে আপনি আলী-বাবার সেলার হয়েও এই কাজ শুরু করে দিতে পারেন.
২১. প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
বন্ধুরা আজকের দিনে যেকোনো পেশা শুরু করার জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণ এবং গ্রামে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই বললেও চলে। গ্রামে আপনি ট্রেনিং সেন্টার খুলে ভাল আয় করতে পারেন। এটা যেকোনো ধরণের ট্রেনিং সেন্টার হতে পারে। কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, হস্ত শিল্পের ট্রেনিং সেন্টার, বিভিন্ন কাজের ট্রেনিং সেন্টার, কোচিং সেন্টার ইত্যাদি.
তবে, আপনি কি ধরণের ট্রেনিং সেন্টার করবেন তার উপর ভিত্তি করে, জায়গা নির্বাচন করুন। কম্পিউটার ট্রেনিং বা কোচিং সেন্টার স্কুল-কলেজ বা বাজারের আশেপাশে খোলার চেষ্টা করুন। এতে করে সহজে আপনার ব্যবসায়ের প্রচার হবে এবং মানুষও ভর্তি হতে আগ্রহী হবে.
২২. দেশি ডিম বিক্রি
আজকের ভেজালের সময়ে সমাজের বিভিন্ন অংশে দেশি মুরগির ডিমের চাহিদা আকাশছোঁয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। বড় বড় মুদির দোকানে বা হাটে-বাজারে এই ডিমের চাহিদা রয়েছে। আপনি আপনার বাড়িতেই মুরগি পুষে এই ডিমের ব্যবসা শুরু করে শহরে সেই ডিম সরবরার করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য খুব বেশি জায়গারও প্রয়োজন পড়বে না.
২৩. Tailoring এর দোকান
মানুষ বেঁচে থাকলে জামা-কাপড় পড়া লাগবেই।দর্জির ব্যবসা একটি পুরাতন ব্যবসা। অতীতেও এর শক্ত অবস্থান ছিল, বর্তমানেও আছে। আপনি চাইলে, গ্রামে এ ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। আপনি নিজে কাজ না জানলে, কর্মচারী রাখুন। এছাড়া, জামা কাপড় সেলাইয়ের পাশাপাশি নতুন জামা-কাপড় তৈরি করে বিক্রি করুন.
২৪. ক্যাটারিং এর ব্যবসা
গ্রামও এখন আধুনিক হচ্ছে, ফলে শহুরে আদব – কায়দা গ্রামে প্রচলিত হচ্ছে যেমন ক্যাটারিং ব্যবসা। গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে ক্যাটারিং এর চাহিদা প্রচুর। তাই আপনিও অল্প পুঁজিতে ক্যাটারিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন.
২৫. গুঁড়ো মসলার ব্যবসা
অল্প কিছু টাকা দিয়ে মসলা গুঁড়োর মেশিন কিনে গ্রামের হাট থেকে গোটা লংকা ও হলদি কিনে গুঁড়ো করে বড় বড় দোকানে বিক্রি করতে পারেন। কারণ হলুদ গুঁড়ো বা লংকা গুঁড়ো ছাড়া আমাদের রান্না হয়না। এছাড়া মসলা গুঁড়োর মেশিনে অন্যের লংকা বা হলুদ গুঁড়ো করে দিতে পারেন, তার বদলে আপনি কিছু টাকা Income করতে পারবেন.
২৬. চানাচুর এর ব্যবসা
মুখরোচক চানাচুর আমাদের সবার পছন্দের খাবার এবং গ্রামের মানুষ চানাচুর পেলে আর কিছুই চায়না। আপনি বাড়িতে চানাচুর বানিয়ে বাজারে বিক্রি করতে পারেন। এর জন্য বিশেষ কিছু প্রয়োজন হয়না এবং পুঁজিও কম লাগে.
২৭. কাপড় কাচার সাবান
আমরা যতই আধুনিক হই না কেন আমাদের জামা কাপড় পরিষ্কার করার জন্য আমরা এখনও সোডা সাবান বা বাট সাবান ব্যবহার করি। তাই অল্প খরচে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন কাপড় কাচার সাবান। গ্রামের বাজারে এর চাহিদা বিপুল এবং পুঁজিও কম লাগে। গ্রামের বাজারে বিক্রি করলে আপনার লাভ ভালো হবেই.
২৮. তেলে ভাজার দোকান
বন্ধুরা এখন সরকার বলছে চাকরি দিতে পারবে না, তেলে ভাজার দোকান করুন। গ্রামের মানুষের কাছে তেলে ভাজা বললে তো আর কথা নেই। মোটামুটি যেখানে একটু লোক সমাগম হয়, এমন জায়গা দেখে তেলে ভাজার দোকান খুলুন। এতে পুঁজিও কম লাগবে আর Income দারুন হবে.
২৯. ফুচকা দোকান
ফুচকার নাম শুনলে কার না জিভে জল আসে। বাড়িতে ফুচকা বানিয়ে বড় রাস্তার মোড়ে যেখানে মানুষ জন বেশি চলাচল করে সেখানে বিক্রি করুন। আপনার ভালো লাভ হবে.
৩০. চুলের ব্যবসা
চুলের চাহিদা এখন বিশ্ব ব্যাপী। গ্রামের মেয়েদের ফেলে দেওয়া চুল অল্প দামে কিনে তাকে সুন্দর পরিষ্কার ও সাইজ করে বিদেশের বাজারে বিক্রি করতে পারেন। সঠিক বিদেশের বাজারে এই চুল পাঠাতে পারলে আপনাকে আর চাকরি খুঁজতে হবেনা.
৩১. মুড়ি ভাজার মেশিন
এখন গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে মুড়ি ভাজা খুবই দরকারি। আপনি অল্প টাকার বিনিময়ে মুড়ি ভাজার মেশিন কিনে গ্রামের মানুষ জনের চাল থেকে মুড়ি ভেজে দিয়ে Income করতে পারেন। এছাড়া পাইকারি দরে চাল কিনে মুড়ি ভেজে দোকানে বিক্রি করতে পারেন.
৩২. আলুর চিপস তৈরী
আলুর চিপস এখন গ্রামেরও জনপ্রিয় টিফিন, বিশেষ করে ছোট ছোট ছেলে – মেয়েদের কাছে। আপনি আলুর চিপস তৈরী করে কাঁচা অথবা ভাজা দু ভাবেই বিক্রি করতে পারেন। যদি সুন্দর প্যাকেট করে নিজের নাম দিয়ে Band বানিয়ে বিক্রি করেন তাহলে নিজস্ব বাজার আপনি তৈরী করতে পারবেন.
৩৩. বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবসা
বিশ্ব জুড়ে দূষণের যুগে বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়া মুশকিল বিশেষ করে গ্রামের দিকে। আপনি কিছু টাকা বিনিয়োগ করে পাম্প বসিয়ে ভূগর্ভস্ত জল পরিস্রুত করে গ্রামে বিক্রি করতে পারবেন। জল বোতল বন্দি করে বিক্রি করবেন তা যেন গ্রামের টাকা দিয়ে কিনতে পারে। এর জন্য আপনার একটি ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে.
৩৪. সুগন্ধী ধূপের ব্যবসা
আর পাঁচটি জিনিসের মতো সুগন্ধী ধুপ গ্রামের মানুষের প্রয়োজন। বাড়িতে সুগন্ধী ধূপ বানিয়ে গ্রামের বাজারে বিক্রি করতে পারেন। আপনি যদি ভালো ধূপ বানাতে পারেন তা শহরের বাজারেও বিক্রি করতে পারবেন.
৩৫. ইমারতি ভান্ডার
যত দিন যাচ্ছে গ্রামে মাটির বাড়ির বদলে পাকা বাড়ি গড়ে উঠছে। তাছাড়া সরকার থেকেও সবার জন্য পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি কিছু টাকা বিনিয়োগ করে ইট, বালি, সিমেন্ট, রড ইত্যাদি অল্প অল্প নিয়ে এসে বিক্রি করেন তাহলে আপনার ব্যবসা ভালোই চলবে.
৩৬. Xerox দোকান
স্কুল বা বাজার মোড়ে Xerox দোকান করলে আপনার ব্যবসা ভালো চলবে.
- নৌকার গায়ে MV কেন লেখা থাকে | MV Full Form in Bengali
- আমাজন এর মালিক কে এবং আমাজন কোন দেশের কোম্পানি?
৩৭. ডালের বড়ি
গ্রামের ডালের বড়ি শহরে খুবই জনপ্রিয়, তাই আপনি বাড়িতে ডালের বড়ি বানিয়ে শহরে খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন.
৩৮. সাইকেল রিপেয়ারিং
অল্প পুঁজিতে আপনি সাইকেল রিপেয়ারিং দোকান খুলতে পারেন। কারণ গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ এখনও সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করেন.
৩৯. মাংস দোকান
গ্রামে মাংসের দোকান এখন একটি লাভ জনক ব্যবসা.
৪০. মুদি দোকান
আসলে সবার শেষে মুদি দোকান রাখার অর্থ হল এটা সবাই জানে এবং করে। মুদি দোকানের চাহিদা গ্রামেও আছে। আপনি যদি বাজারে মুদি দোকান খুলতে না পারেন তাহলে, গ্রামেই শুরু করে দিতে পারেন.
মজার ব্যাপার হল, মুদি দোকানের পাশাপাশি মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা করতে পারবেন। সহজ বাংলায় বলা যায়, “এক ঢিলে দুই পাখি মারা”
বর্তমানে গ্রাম ও ছোট শহরে নতুন করে বাজার তৈরি হচ্ছে ও বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে এই সব এলাকায় ব্যবসার প্রচুর সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আপনি যদি সঠিক ব্যবসাটি বেছে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রামের ব্যবসা থেকে আপনার লাভ হবেই.
আমাদের শেষ কথা
তাই বন্ধুরা, আমি আশা করি আপনি অবশ্যই একটি Article পছন্দ করেছেন (৩৫+ টি নতুন গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া)। আমি সর্বদা এই কামনা করি যে আপনি সর্বদা সঠিক তথ্য পান। এই পোস্টটি সম্পর্কে আপনার যদি কোনও সন্দেহ থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই নীচে মন্তব্য করে আমাদের জানান। শেষ অবধি, যদি আপনি Article পছন্দ করেন (গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া), তবে অবশ্যই Article টি সমস্ত Social Media Platforms এবং আপনার বন্ধুদের সাথে Share করুন।